রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৪৫ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার হাফিজুর রহমান হাবিব ;
সন্দ্বীপ( চট্টগ্রাম) উড়িরচরের ইতিহাসে গর্ব ও অনুপ্রেরণার নতুন অধ্যায় রচনা করলেন মারুফ বেগম ঝুমু। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া উড়িরচর থেকে প্রথম নারী শিক্ষার্থী হিসেবে এক অনন্য নজির স্থাপন করেছেন। ঝুমুর শিক্ষাজীবনের সূচনা হয় উড়িরচর মোস্তাফিজুর রহমান মাদ্রাসা থেকে, যেখানে তিনি পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত অধ্যয়ন করেন। এরপর সন্দ্বীপ মহিলা মাদ্রাসা থেকে এসএসসি এবং চট্টগ্রাম কলেজ থেকে এইচএসসি সম্পন্ন করেন। তিন ভাইবোনের মধ্যে ঝুমু সর্বকনিষ্ঠ। বড় ভাই নকিরুল হাসান রহিম বর্তমানে চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজে ইসলামের ইতিহাস বিভাগে অনার্স চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়নরত। বড় বোন স্নাতকে অধ্যয়নরত সন্দ্বীপ সরকারি হাজী এবি কলেজে। তাদের মা ফেরদৌসি বেগম নিজেই এক সংগ্রামী শিক্ষানুরাগী। ১৯৯৪ সালে তিনি এসএসসি এবং ২০১৬ সালে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এইচএসসি পাশ করেন। বর্তমানে তিনি সন্দ্বীপের বাউরিয়া উত্তর-পশ্চিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। শিক্ষকতা পেশায় তার যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৯৫ সালে উড়িরচরের সৈকত (রেজিস্টার্ড) প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, যা ২০১৩ সালে সরকারি স্বীকৃতি লাভ করে। এই গর্বের মুহূর্তে উড়িরচরের আরেক গর্বিত চবিয়ান মো. নুর নবীর কথা না বললেই নয়। তিনিও চট্টগ্রাম
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ছিলেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঝুমুর এই সাফল্যের খবর ছড়িয়ে দিয়ে সবাইকে অনুপ্রাণিত করেছেন। মারুফ বেগম ঝুমুর এই অভাবনীয় অর্জন শুধু উড়িরচরের নয়, পুরো সন্দ্বীপবাসীর জন্যই এক গর্বের বিষয়। তাকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের শুভ কামনা।
ছবিতে: বামে মারুফ বেগম ঝুমুর মা ফেরদৌসি বেগম, মাঝখানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া উড়িরচরের প্রথম নারী শিক্ষার্থী মারুফ বেগম ঝুমু এবং ডানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সন্দ্বীপের গর্বিত সন্তান ড. মোহাম্মদ মোসলেম উদ্দিন মুন্না